অনলাইন ডেস্ক: নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(খ) ধারায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগে অভিযোগপত্র দেয়ার পরেও রায় প্রদানকালে দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় হত্যার প্ররোচনায় আসামির সাজা প্রদান করেন বিচারিক আদালত। তাই রাবির সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে তিন মাসের মধ্যে নতুন করে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এছাড়া নিম্ন আদালতে খালাস পাওয়া তিন আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং অন্যথায় তিন মাস পর আসামি আসিফ জামিন চাইলে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামির সাজা বাড়াতে বাদীপক্ষের করা আবেদন এবং খালাস চেয়ে আসামির করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন- অ্যাডভোকেট সারোয়ার আহমেদ ও মো. মুনসুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন- ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শাহীন মৃধা। মৃত সিফাতের পিতা আমিনুল ইসলাম নিজেও আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানি করেন।
রায়ের পর আইনজীবীরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে নতুন করে বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দণ্ডবিধির পরিবর্তে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচার করতে বলা হয়েছে। ৩ মাসের মধ্যে এই বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, নিম্ন আদালতে খালাসপ্রাপ্ত তিন আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই তিন আসামি আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট আদালতকে তাদের জামিন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া তিনমাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন না হলে আসামি জামিন আবেদন করলে তা বিবেচনা করতে বলা হয়েছে।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে খালাস চেয়ে আপিল করে আসিফ। অপরদিকে আসিফের সাজা বৃদ্ধি ও অন্য তিন আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে বাদীপক্ষ। যার শুনানি শেষে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিচারিক আদালতের রায় বাতিল ঘোষণা করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।
মতিহার বার্তা ডট কম: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.